Posts

Showing posts with the label কবিতা

অট্টহাস্য

বিভিন্ন মানুষ কত কথা বলে যায় স্বভাবে 'তুমি তুমি' করেই মরি আমি তাও কেন  রক্ত মাংসের মানুষ বলে সবাই তবুও  মাথার ভেতরের দেয়াল ভেঙে উড়ে যেতে চায় সে আকাশে, রঙ তুলি ঘাসের মতন -  টানলে ছিঁড়ে চলে আসবে আমার চুল নির্ভুল - বানান ঠিক আছে তবুও নেই ঠিক  সেই প্রাচীন দেশের সেই অকথ্য সুখ। আমাকে দিতে দাও ঝাঁপ ছাদ থেকে,  মরবোনা - উড়ে যাবো কোথাও একটা  আমার মধ্যে বাসা বেঁধেছে সে, সস্তা কবিতা লেখাচ্ছে শালা আমাকে দিয়ে, কালো কালিও ফুরিয়ে যাচ্ছেনা, কি যে করি বলো - বরং একটু কাঁদো তুমি বসে বসে -  আর অট্টহাস্যে মেতে যাই আমি।  কিম্ভূতকিমাকার  ~ সোহম  জুলাই ২৪, ২০২৩   হাওড়া।

বিদেশের প্রথম কবিতা : প্রেম

গোটা জগৎ ধরে ফেলতে চাই  এক নিমেষে সব করেও ফেলি বোতলবন্দি যত রাজ্যের অঙ্ক গুলো                      তবুও মনেহয় পুরতে পারলাম না কিছু একটা সেই বোতলে: নিজেকে। মাথার ভেতরের হারামীটা সব জানে তবুও ফাঁকা বোতল নিয়ে ছোটায়, নিশ্বাস আর প্রশ্বাস - এর মাঝে চোখের পাতা ফেলা - এর মাঝে শেষ দুটো পংক্তির মাঝে,                 অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে,                 বীভৎস একটা ফাঁক থেকে গেছে, আমার দ্বারা সেটা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তোর         আর আমার ঠোঁটের মাঝে যেন একটা  অণুও গলতে না পারে, এর ব্যাবস্থা আমি করবো ... এই মানুষ নামক জানোয়ারটা এটুকুই পারে শুধু, ব্যাস। ~সোহম ২৬.১২.২২  ব্রাতিস্লাভা 

একটা বই বেরোবে...

তুমি কি জানো?     ... তুমি আসার পর কবিতা লেখা ছেড়ে                              দিয়েছি আমি? বিরক্তিকর বিতর্কের সারি সারি পাঁচিল গুলো আর ডিঙিয়ে আসতে হয়না, ঝর-ঝর করে ভেঙে পড়েছে সব, ধূলিসাৎ। ঠিক যেন নাগাসাকির সেই আতঙ্কিত রাত! তুমি আসার পর, তুমি কে তুই বলা অভ্যেস হয়ে গেছে।  তোকে নিয়ে বই লেখার কথা ভেবেছি, না! লিখে যায়নি কেউই;  সক্রেটিস থেকে রবীন্দ্রনাথ, সব ডাহা ফেল। আমি জানিনা ওই বইতে কি থাকবে,  তবে এটুকু জানি যে কি থাকবেনা; শব্দ, পৃষ্ঠা, মলাট। ~ সোহম               

তাড়াতাড়ি এসো আজকে কিন্তু...

যখন আমি দেখিনা তোমায় তখনও তোমায় দেখি, কেননা তোমায় বুঝি না দেখে থাকা যায়না। এক নাস্তিককে হঠাৎই, তুমি বানিয়ে দিয়েছো মস্ত বড় আস্তিক;  আমি পেয়েছি তোমায় সেভাবেই, যেভাবে মৎজার্ট পেতো নিজের সুরের সন্ধান।  কেন, কখন, কিভাবে জানিনা যে কিছুই আমি, শুধু উঠে দেখি ঘুম থেকে একদিন: বুকের মধ্যে বেহালা বেজেই চলেছে, করা যাচ্ছেনা বন্ধ। ঘুম থেকে উঠলাম এবার;  হ্যাঁ, স্বপ্ন ছিলনা ওটা। দুবার ঘুম থেকে ওঠা যায়না। মনেহয় গোটা জীবনটাই একটা স্বপ্ন, সমস্ত মানুষই স্বপ্ন; শুধু আমি, আর তুমি ছাড়া। এইযে কষ্ট করে এতগুলো পংক্তি পড়লে তুমি,  কি দরকার ছিল?  আজকেই তো আসবে আবার আমার বুকে ।। ~সোহম ১০.০৯.২২

দু - চারটে অন্ধকার পংক্তি

আমার মনের টুকরো গুলো ভেসে গেছে সঙ্গীহীনতার জঙ্গলে, অণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এক একটা রাজপ্রাসাদের মত, সৈন্যরা পরাজিত যার,            বসে আছে রাজা শুধু, নেই কোনো দাসী বা চাষী, শুনবে না কেউ কোনো কান্না তার, তারও মনের অসংখ্য টুকরো পড়ে আছে... সেগুলি কে পাতালে পুঁতে দিলে সমস্ত দূষণ চুষে নিতে পারে। এক একটা কণায় গ্রন্থিত                        সবই এমনকি পৃথিবীর লাশটাও মানুষের বিয়োগভ্যাস, তবে এটা লিখে দেওয়া সম্ভব না যে, এরপর গর্ভ থেকে মৃত মানুষ জন্ম নেবে না... আমাদের কি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে? তাই কি? ~সোহম ০৬.০৮.২২

ব্লানডার

                                     কেননা, কাল রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় খুঁজতে চাই, তবে একদম নেই সময়  তাই তুমি তাড়াতাড়ি, চলে এস বাড়ি,  আর কোরো না দেরি...                                       কেননা, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরা, ঘোর অন্যায়।  হ্যাঁ, এটাই বলেছে শাস্ত্রে, বলতেন আমার পিসির বিধবা শাশুড়ি,  ওনার বছর ষলোয় গত হোন স্বামী, তারপর থেকে তার সাদা শাড়ি আর ফলাহারই দামি তাও জানিনা কি করে তার চারটে সন্তান, দুটি সন্ততি শুনেছি পরিবারে খুবই অশান্তি,  যদিও সেই বৃদ্ধা শেষ বয়স অব্দি ছিলেন ঠাকুরের চরণে, তাই সবাই বলে তার জীবন স্বার্থক। এগুলো দেখলে আমার খালি মনেহয়, মানুষ কে ভগবান সৃষ্টি করেনি, অন্য কেউ করেছে কেননা এতো খুব কাঁচা হাতের কাজ, নাহলে এরম সাংঘাতিক ভুল হয় কি করে? তবে হ্যাঁ, ধর্ম মানুষেরই সৃষ্টি...                                      কেননা, ম্যানিফেস্টো লেখা মানুষের ছোটবেলার স্বভাব,  আর না-পাওয়ার স্বপ্নে ইজিবিজি কাটা। তবে হ্যাঁ শোনো, তুমি চলে এসো বাড়ি, তাড়াতাড়ি দেরি কোরো না                                     কেননা, এই সমাজটা সেই বানিয়েছে যে মানুষ গড়েছে,

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস এক একটা আস্ত কবিতা। বেশিরভাগই আমি লিখিনা, ভেসে যেতে দিই আকাশে কেননা সব কবিতা পাতায় ধরে রাখা যায়না। সেই কবিতা গুলো ভেসে যায় হাওয়ায়, কখনো কখনো উড়ে চলে যায় কোনো চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে, দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়, ভাতের দাবি জানায়, শোষক কে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, চায় উপড়ে ফেলতে সেই সব ফ্যাসিবাদী শক্তিদের। আবার কখনো একটা নারী ও পুরুষের ঠোঁটদুটির মাঝে আশ্রয় নেয়। তবে বেশিরভাগ সময় মাটিতে পড়ে যায়, তারপর সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায়, মাটিতে মিশে সার হয়ে জন্ম দেয়, বিপ্লবের। তবে আমি চাই এই কবিতা একদিন প্রত্যেকটা শিল্পীর হৃদয়ে মিশে যাক, কারণ আমি প্রত্যেকটা শিল্পীকে সুখী দেখতে চাই। ~সোহম ২৩.০৭.২২

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো...

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো,  পিঞ্জর ভরে গেছে কালোয় থুতনিটা মাটিতে ঠেকে গেছে খুব, খুব কষ্ট হচ্ছে জানো। তুমি কি আমায় শেষ করে দিচ্ছ? আমি জানি, নেই লাভ লিখে এই কবিতা;  সেই কালো রক্তের সমুদ্র দিয়ে চলে যেতে হবে হেঁটে,  উপায় নেই সাঁতরানোর, কারণ সাঁতার জানোনা তুমি  -  দোষ তো কোনো নেই তোমার! এই পৃথিবী বা তার চেয়েও বড় কোনো পুকুরকে হেঁটে পার করে দিতে পারি আমি,  আমারই মত আরো অনেক জন্তু আছে হয়তো, হয়তো না...আছে, মাঝে মধ্যে আমি পুকুরের তলায় ডুবে-ডুবে তাদের লাশ দেখেছি, তবে চিনতে পারিনি, আসলে চেনার চেষ্টাও করিনি। আমি মিথ্যে বললাম, আমি সাঁতরাতে পারি, একাই সাঁতরাই... কেননা শুধু তুমি না,  অনেকেই সাঁতার কাটতে পারেনা। আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো, ও না না, শুধু আমিই জানি! ~সোহম ১২.০৫.২২

খুব জরুরি

আমার মনের অসীম গভীরতার মাঝে  আটকে থেকে যায় কবিতাগুলো বিছানার চাদরে যেমনি জমে থাকে আমাদের অকথ্য আলোচনা,  পোশাকে আমরা চিনতে পারিনি একে-অপরকে  তাই জরুরি তোমার আমার নগ্নতা, আমাকে তোমার, তোমাকে আমার দেখাটা খুব জরুরি, জরুরি ঠোঁটের কামড়, জরুরি অসভ্যতা জরুরি বিচারহীন নীরবতা, জরুরি দুজনে একে-অন্যের মন-শরীরের কবিতা গুলো পড়া...খুব জরুরি। ~পাগলা

একটা ঝড় উঠুক

আমি চাই একটা ঝড় উঠুক ধুয়ে-মুছে দিক সমস্ত নিয়ম বাঁধন গুলো ভেঙে যাক তৎক্ষণাৎ থেকে যাক যা কিছু অক্ষয়-অবিনাশ... তুলে নিয়ে যাক আদিমের গোঁড়ামি ছুঁড়ে ফেলুক একের পর এক অতিমারী ভাত গুলো উড়ে যাক গরিবের থালায় মানুষ আবার পথ ফিরে পাক, আন্দোলনের ছায়ায়। বাঘ গুলো জাল ফুঁড়ে দিক চিড়িয়াখানার প্রত্যেকটা মানুষ নিজের না লেখা প্রেম-পত্র গুলো লিখে ফেলুক, অস্ত যাক রাজার সূর্য, ফিরে আসুক আবার...প্রজাদের হাতে গড়া সেই টিমটিমে তারা ভরা আকাশ। আবার শান্ত আকাশে কালো মেঘ গুলো জড়ো হোক, চিলেকোঠার ঘর থেকে বেরিয়ে সবাই গন্ধ পাক...আগাম ঝড়ের, সব্বাই নেমে আসুক রাস্তায়, সেই ঝড়ের কামনায়,  আমি চাই, আমি শুধু চাই একটা ঝড় উঠুক! ~পাগলা ১৪.০৫.২১

নতুন আলো

আজ বসে আছি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু তারা গুলো গুনে গুনে ফুরিয়ে গেছে পরে আছে বাকি গোনা অন্ধকার টুকু। শিশু গুলোকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছে দিবাকালেও ঘোর অন্ধকার  জিভটাও কেটে নিয়েছে ওরা পাছে করে ফেলি তারস্বরে চিৎকার? আবার কি আসবে ভোর? মাটিতে পুঁতে দেওয়া লাশ গুলো খুঁড়ে বেরিয়ে আসবে? আবার কি জিভ কাটা মানুষ গুলো নিজেদের কন্ঠস্বর ফিরে পাবে? আবার কি আমি...রাতের অন্ধকারে খুঁজে পাবো তারা?...খুঁজে পাবো নতুন আলো? ~পাগলা @sohams8 ০৯.০৪.২১

ভয়ের কীর্তন

মানুষ কাছে আসেনা... ভয় পায়, ভয়ের আকাশে ছবি আঁকে বালির সাগরে ডুবতে চায়। মানুষ আয়নায় দেখেনা নগ্ন নিজেকে ভয় পায় গায়ে মিথ্যের খোলস জড়িয়ে থাকে খোলস ছাড়াতে ভয় পায়। মানুষ ডানা মেলতে ভয় পায় কারোর বুকের উষ্ণতা অনুভব করতে ভয় পায়, অপরকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়, কেননা মানুষ... নিজেকেও বিশ্বাস করতে ভয় পায়। ~পাগলা

আলোর ছবিটা আঁকতে

মৃত তোমাকে বয়ে বেড়ায়নি আমি দিয়েছিলাম প্রাণ, আলো করে ছিল তুমি আমার পংক্তির মাঝে। তুমি জীবিত আমাকেও মৃত করেছ নিজের কক্ষে, মরা আমিকেও বার বার মেরেছো, কিঞ্চিৎ রেহাই দাওনি। দোষ কি তোমার?: বারবার ফিনিক্স টাকে খুন করা! নাকি আমার?: নুড়ি কে মুক্ত ভাবা! পারতেনা কি তুমি আকাশটাকে জড়িয়ে ধরতে? আকাশটাকে আকাশের মত করে দেখতে? যেরম আমি অন্ধকারে আলো জ্বালতে চেয়েছিলাম... পেরেছি শুধু আলোর ছবিটা আঁকতে। ~পাগলা

সেইদিন নিতে আসব তোমাকে...

একদিন এই ছলনা খেলা বন্ধ করবে সবাই সারাক্ষন আমি আর হাসবনা মেয়েটা খেলবেনা আর বোকা ছেলেটার মন নিয়ে ক্ষুন্ন স্বামী-স্ত্রীরা প্রেমীদের কাছে ফিরে যাবে লাশ গুলো আর লুকিয়ে পাচার হবেনা দু দেশের মধ্যে জমি নিয়ে খুনোখুনি হবেনা হিন্দুরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়বে মুসুলমানে মাজবে মন্দিরের বাসন  হিজড়েরা পাড়ায় দাঁড়িয়ে গান করবে ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে চুম্বন করবে বাচ্ছা মেয়েরা আর ধর্ষিত হবেনা সেইদিন মানুষের টাকা মানুষই ফিরে পাবে আমিও ফিরে পাব আমাকে, রাশিফল দেখে আর বিয়ে হবেনা সেইদিন যদি অপেক্ষা করো... নিতে আসব তোমাকে। মিথ্যে খেলা বন্ধ হবে,  তবুও আগুন জ্বলবে তারা তে, সেইদিন যদি অপেক্ষা করো... নিতে আসব তোমাকে। ~পাগলা  ০১.০৭.২০