Posts

Showing posts with the label বাংলা

অট্টহাস্য

বিভিন্ন মানুষ কত কথা বলে যায় স্বভাবে 'তুমি তুমি' করেই মরি আমি তাও কেন  রক্ত মাংসের মানুষ বলে সবাই তবুও  মাথার ভেতরের দেয়াল ভেঙে উড়ে যেতে চায় সে আকাশে, রঙ তুলি ঘাসের মতন -  টানলে ছিঁড়ে চলে আসবে আমার চুল নির্ভুল - বানান ঠিক আছে তবুও নেই ঠিক  সেই প্রাচীন দেশের সেই অকথ্য সুখ। আমাকে দিতে দাও ঝাঁপ ছাদ থেকে,  মরবোনা - উড়ে যাবো কোথাও একটা  আমার মধ্যে বাসা বেঁধেছে সে, সস্তা কবিতা লেখাচ্ছে শালা আমাকে দিয়ে, কালো কালিও ফুরিয়ে যাচ্ছেনা, কি যে করি বলো - বরং একটু কাঁদো তুমি বসে বসে -  আর অট্টহাস্যে মেতে যাই আমি।  কিম্ভূতকিমাকার  ~ সোহম  জুলাই ২৪, ২০২৩   হাওড়া।

একটা বই বেরোবে...

তুমি কি জানো?     ... তুমি আসার পর কবিতা লেখা ছেড়ে                              দিয়েছি আমি? বিরক্তিকর বিতর্কের সারি সারি পাঁচিল গুলো আর ডিঙিয়ে আসতে হয়না, ঝর-ঝর করে ভেঙে পড়েছে সব, ধূলিসাৎ। ঠিক যেন নাগাসাকির সেই আতঙ্কিত রাত! তুমি আসার পর, তুমি কে তুই বলা অভ্যেস হয়ে গেছে।  তোকে নিয়ে বই লেখার কথা ভেবেছি, না! লিখে যায়নি কেউই;  সক্রেটিস থেকে রবীন্দ্রনাথ, সব ডাহা ফেল। আমি জানিনা ওই বইতে কি থাকবে,  তবে এটুকু জানি যে কি থাকবেনা; শব্দ, পৃষ্ঠা, মলাট। ~ সোহম               

ব্লানডার

                                     কেননা, কাল রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় খুঁজতে চাই, তবে একদম নেই সময়  তাই তুমি তাড়াতাড়ি, চলে এস বাড়ি,  আর কোরো না দেরি...                                       কেননা, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরা, ঘোর অন্যায়।  হ্যাঁ, এটাই বলেছে শাস্ত্রে, বলতেন আমার পিসির বিধবা শাশুড়ি,  ওনার বছর ষলোয় গত হোন স্বামী, তারপর থেকে তার সাদা শাড়ি আর ফলাহারই দামি তাও জানিনা কি করে তার চারটে সন্তান, দুটি সন্ততি শুনেছি পরিবারে খুবই অশান্তি,  যদিও সেই বৃদ্ধা শেষ বয়স অব্দি ছিলেন ঠাকুরের চরণে, তাই সবাই বলে তার জীবন স্বার্থক। এগুলো দেখলে আমার খালি মনেহয়, মানুষ কে ভগবান সৃষ্টি করেনি, অন্য কেউ করেছে কেননা এতো খুব কাঁচা হাতের কাজ, নাহলে এরম সাংঘাতিক ভুল হয় কি করে? তবে হ্যাঁ, ধর্ম মানুষেরই সৃষ্টি...               ...

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস এক একটা আস্ত কবিতা। বেশিরভাগই আমি লিখিনা, ভেসে যেতে দিই আকাশে কেননা সব কবিতা পাতায় ধরে রাখা যায়না। সেই কবিতা গুলো ভেসে যায় হাওয়ায়, কখনো কখনো উড়ে চলে যায় কোনো চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে, দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়, ভাতের দাবি জানায়, শোষক কে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, চায় উপড়ে ফেলতে সেই সব ফ্যাসিবাদী শক্তিদের। আবার কখনো একটা নারী ও পুরুষের ঠোঁটদুটির মাঝে আশ্রয় নেয়। তবে বেশিরভাগ সময় মাটিতে পড়ে যায়, তারপর সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায়, মাটিতে মিশে সার হয়ে জন্ম দেয়, বিপ্লবের। তবে আমি চাই এই কবিতা একদিন প্রত্যেকটা শিল্পীর হৃদয়ে মিশে যাক, কারণ আমি প্রত্যেকটা শিল্পীকে সুখী দেখতে চাই। ~সোহম ২৩.০৭.২২

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো...

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো,  পিঞ্জর ভরে গেছে কালোয় থুতনিটা মাটিতে ঠেকে গেছে খুব, খুব কষ্ট হচ্ছে জানো। তুমি কি আমায় শেষ করে দিচ্ছ? আমি জানি, নেই লাভ লিখে এই কবিতা;  সেই কালো রক্তের সমুদ্র দিয়ে চলে যেতে হবে হেঁটে,  উপায় নেই সাঁতরানোর, কারণ সাঁতার জানোনা তুমি  -  দোষ তো কোনো নেই তোমার! এই পৃথিবী বা তার চেয়েও বড় কোনো পুকুরকে হেঁটে পার করে দিতে পারি আমি,  আমারই মত আরো অনেক জন্তু আছে হয়তো, হয়তো না...আছে, মাঝে মধ্যে আমি পুকুরের তলায় ডুবে-ডুবে তাদের লাশ দেখেছি, তবে চিনতে পারিনি, আসলে চেনার চেষ্টাও করিনি। আমি মিথ্যে বললাম, আমি সাঁতরাতে পারি, একাই সাঁতরাই... কেননা শুধু তুমি না,  অনেকেই সাঁতার কাটতে পারেনা। আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো, ও না না, শুধু আমিই জানি! ~সোহম ১২.০৫.২২

যবে...

ঘুম আসেনা আমার চোখ জলজল... তাকিয়ে থাকি নির্বাক আকাশের দিকে প্রতিশোধের খোঁজে। নক্ষত্র জ্বলে প্রতিশোধে পোড়ে সত্যের আগুনে দিশা দেখায় ক্রান্তিকারীদের শীত গ্রীষ্ম ফাগুনে। আমারও স্থান হবে ওই কাননে বিদ্রোহীদের গগনে যবে মুক্ত করবো খণ্ডযুদ্ধে চিত্ত থাকবেনা আর বাঁধনে।                           ~পাগলা