Posts

Showing posts with the label সোহম

বিদেশের প্রথম কবিতা : প্রেম

গোটা জগৎ ধরে ফেলতে চাই  এক নিমেষে সব করেও ফেলি বোতলবন্দি যত রাজ্যের অঙ্ক গুলো                      তবুও মনেহয় পুরতে পারলাম না কিছু একটা সেই বোতলে: নিজেকে। মাথার ভেতরের হারামীটা সব জানে তবুও ফাঁকা বোতল নিয়ে ছোটায়, নিশ্বাস আর প্রশ্বাস - এর মাঝে চোখের পাতা ফেলা - এর মাঝে শেষ দুটো পংক্তির মাঝে,                 অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে,                 বীভৎস একটা ফাঁক থেকে গেছে, আমার দ্বারা সেটা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তোর         আর আমার ঠোঁটের মাঝে যেন একটা  অণুও গলতে না পারে, এর ব্যাবস্থা আমি করবো ... এই মানুষ নামক জানোয়ারটা এটুকুই পারে শুধু, ব্যাস। ~সোহম ২৬.১২.২২  ব্রাতিস্লাভা 

একটা বই বেরোবে...

তুমি কি জানো?     ... তুমি আসার পর কবিতা লেখা ছেড়ে                              দিয়েছি আমি? বিরক্তিকর বিতর্কের সারি সারি পাঁচিল গুলো আর ডিঙিয়ে আসতে হয়না, ঝর-ঝর করে ভেঙে পড়েছে সব, ধূলিসাৎ। ঠিক যেন নাগাসাকির সেই আতঙ্কিত রাত! তুমি আসার পর, তুমি কে তুই বলা অভ্যেস হয়ে গেছে।  তোকে নিয়ে বই লেখার কথা ভেবেছি, না! লিখে যায়নি কেউই;  সক্রেটিস থেকে রবীন্দ্রনাথ, সব ডাহা ফেল। আমি জানিনা ওই বইতে কি থাকবে,  তবে এটুকু জানি যে কি থাকবেনা; শব্দ, পৃষ্ঠা, মলাট। ~ সোহম               

দু - চারটে অন্ধকার পংক্তি

আমার মনের টুকরো গুলো ভেসে গেছে সঙ্গীহীনতার জঙ্গলে, অণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এক একটা রাজপ্রাসাদের মত, সৈন্যরা পরাজিত যার,            বসে আছে রাজা শুধু, নেই কোনো দাসী বা চাষী, শুনবে না কেউ কোনো কান্না তার, তারও মনের অসংখ্য টুকরো পড়ে আছে... সেগুলি কে পাতালে পুঁতে দিলে সমস্ত দূষণ চুষে নিতে পারে। এক একটা কণায় গ্রন্থিত                        সবই এমনকি পৃথিবীর লাশটাও মানুষের বিয়োগভ্যাস, তবে এটা লিখে দেওয়া সম্ভব না যে, এরপর গর্ভ থেকে মৃত মানুষ জন্ম নেবে না... আমাদের কি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে? তাই কি? ~সোহম ০৬.০৮.২২

ব্লানডার

                                     কেননা, কাল রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় খুঁজতে চাই, তবে একদম নেই সময়  তাই তুমি তাড়াতাড়ি, চলে এস বাড়ি,  আর কোরো না দেরি...                                       কেননা, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরা, ঘোর অন্যায়।  হ্যাঁ, এটাই বলেছে শাস্ত্রে, বলতেন আমার পিসির বিধবা শাশুড়ি,  ওনার বছর ষলোয় গত হোন স্বামী, তারপর থেকে তার সাদা শাড়ি আর ফলাহারই দামি তাও জানিনা কি করে তার চারটে সন্তান, দুটি সন্ততি শুনেছি পরিবারে খুবই অশান্তি,  যদিও সেই বৃদ্ধা শেষ বয়স অব্দি ছিলেন ঠাকুরের চরণে, তাই সবাই বলে তার জীবন স্বার্থক। এগুলো দেখলে আমার খালি মনেহয়, মানুষ কে ভগবান সৃষ্টি করেনি, অন্য কেউ করেছে কেননা এতো খুব কাঁচা হাতের কাজ, নাহলে এরম সাংঘাতিক ভুল হয় কি করে? তবে হ্যাঁ, ধর্ম মানুষেরই সৃষ্টি...                                      কেননা, ম্যানিফেস্টো লেখা মানুষের ছোটবেলার স্বভাব,  আর না-পাওয়ার স্বপ্নে ইজিবিজি কাটা। তবে হ্যাঁ শোনো, তুমি চলে এসো বাড়ি, তাড়াতাড়ি দেরি কোরো না                                     কেননা, এই সমাজটা সেই বানিয়েছে যে মানুষ গড়েছে,

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস এক একটা আস্ত কবিতা। বেশিরভাগই আমি লিখিনা, ভেসে যেতে দিই আকাশে কেননা সব কবিতা পাতায় ধরে রাখা যায়না। সেই কবিতা গুলো ভেসে যায় হাওয়ায়, কখনো কখনো উড়ে চলে যায় কোনো চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে, দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়, ভাতের দাবি জানায়, শোষক কে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, চায় উপড়ে ফেলতে সেই সব ফ্যাসিবাদী শক্তিদের। আবার কখনো একটা নারী ও পুরুষের ঠোঁটদুটির মাঝে আশ্রয় নেয়। তবে বেশিরভাগ সময় মাটিতে পড়ে যায়, তারপর সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায়, মাটিতে মিশে সার হয়ে জন্ম দেয়, বিপ্লবের। তবে আমি চাই এই কবিতা একদিন প্রত্যেকটা শিল্পীর হৃদয়ে মিশে যাক, কারণ আমি প্রত্যেকটা শিল্পীকে সুখী দেখতে চাই। ~সোহম ২৩.০৭.২২

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো...

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো,  পিঞ্জর ভরে গেছে কালোয় থুতনিটা মাটিতে ঠেকে গেছে খুব, খুব কষ্ট হচ্ছে জানো। তুমি কি আমায় শেষ করে দিচ্ছ? আমি জানি, নেই লাভ লিখে এই কবিতা;  সেই কালো রক্তের সমুদ্র দিয়ে চলে যেতে হবে হেঁটে,  উপায় নেই সাঁতরানোর, কারণ সাঁতার জানোনা তুমি  -  দোষ তো কোনো নেই তোমার! এই পৃথিবী বা তার চেয়েও বড় কোনো পুকুরকে হেঁটে পার করে দিতে পারি আমি,  আমারই মত আরো অনেক জন্তু আছে হয়তো, হয়তো না...আছে, মাঝে মধ্যে আমি পুকুরের তলায় ডুবে-ডুবে তাদের লাশ দেখেছি, তবে চিনতে পারিনি, আসলে চেনার চেষ্টাও করিনি। আমি মিথ্যে বললাম, আমি সাঁতরাতে পারি, একাই সাঁতরাই... কেননা শুধু তুমি না,  অনেকেই সাঁতার কাটতে পারেনা। আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো, ও না না, শুধু আমিই জানি! ~সোহম ১২.০৫.২২

নতুন আলো

আজ বসে আছি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু তারা গুলো গুনে গুনে ফুরিয়ে গেছে পরে আছে বাকি গোনা অন্ধকার টুকু। শিশু গুলোকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছে দিবাকালেও ঘোর অন্ধকার  জিভটাও কেটে নিয়েছে ওরা পাছে করে ফেলি তারস্বরে চিৎকার? আবার কি আসবে ভোর? মাটিতে পুঁতে দেওয়া লাশ গুলো খুঁড়ে বেরিয়ে আসবে? আবার কি জিভ কাটা মানুষ গুলো নিজেদের কন্ঠস্বর ফিরে পাবে? আবার কি আমি...রাতের অন্ধকারে খুঁজে পাবো তারা?...খুঁজে পাবো নতুন আলো? ~পাগলা @sohams8 ০৯.০৪.২১

ভয়ের কীর্তন

মানুষ কাছে আসেনা... ভয় পায়, ভয়ের আকাশে ছবি আঁকে বালির সাগরে ডুবতে চায়। মানুষ আয়নায় দেখেনা নগ্ন নিজেকে ভয় পায় গায়ে মিথ্যের খোলস জড়িয়ে থাকে খোলস ছাড়াতে ভয় পায়। মানুষ ডানা মেলতে ভয় পায় কারোর বুকের উষ্ণতা অনুভব করতে ভয় পায়, অপরকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়, কেননা মানুষ... নিজেকেও বিশ্বাস করতে ভয় পায়। ~পাগলা

আজকে

আজকে কোনো পংক্তি নেই আমার কলমে মাথার ভেতর শুধু জঞ্জাল সমাজের জটে আটকে আছি আমি কাটিয়ে উঠে নোংরার মায়াজাল। আজকে অনেক ভিড় ছিল জানো তবুও আমি ছিলাম একা  বলার কথা ছিল অনেক তবুও বুকের ভেতরটা ছিল ফাঁকা। আজকে কোনো কবিতা শোনাবোনা ধরবোনা কোনো ভুল-ত্রুটি আজকে আমি ছেড়ে দিলাম আজকে...আজকে আমার ছুটি। ~পাগলা

আলোর ছবিটা আঁকতে

মৃত তোমাকে বয়ে বেড়ায়নি আমি দিয়েছিলাম প্রাণ, আলো করে ছিল তুমি আমার পংক্তির মাঝে। তুমি জীবিত আমাকেও মৃত করেছ নিজের কক্ষে, মরা আমিকেও বার বার মেরেছো, কিঞ্চিৎ রেহাই দাওনি। দোষ কি তোমার?: বারবার ফিনিক্স টাকে খুন করা! নাকি আমার?: নুড়ি কে মুক্ত ভাবা! পারতেনা কি তুমি আকাশটাকে জড়িয়ে ধরতে? আকাশটাকে আকাশের মত করে দেখতে? যেরম আমি অন্ধকারে আলো জ্বালতে চেয়েছিলাম... পেরেছি শুধু আলোর ছবিটা আঁকতে। ~পাগলা

আজকে এলাম...

আজকে তুমি ঘর নও আজকে তুমি অপরিচিত আজকে রয়েছে ঝড়ের আভাস আজকে বিনাশ আশঙ্কিত। আজকে দেশে শান্তি নেই আজকে মহামারীর আবির্ভাব আজকে শুরু ঘৃণার দিন মনের ওপর নিম্নচাপ। আজকে দেশে মারামারি আজকে বাতাসে ঘৃণার বিষ আজকে ফুলের মৃত্যুদিন আজকে আমার লগ্নশেষ। আজকে বাঁচার সময় নেই মৃত্যু ডাকে গেলাম, পারলে তুমি কালকে এসো আজকে আমি এলাম। ~পাগলা

কদম ফুল

কদম ফুল চেয়েছিলে তুমি সেইদিন, দিতে পারিনি আমি। দক্ষিনা বাতাসের মত উড়ে বেড়াতে তুমি  বৃষ্টি হয়ে পড়তে আমার মাথায়, গায়ে মিশে যেতে তুমি তোমাকে... হয়তো কিচ্ছু দিতে পারিনি আমি। আজও কিন্তু দাঙ্গা লাগে জানো আজও ধর্মের ভেদাভেদ আজও বাচ্ছা ক্ষুধায় মরে আজও নেতাদের পকেট ভার। তবে আজও আমি ওই নদীর ধারে বসি একা-একা তবে নদীর এখন অবস্থা বেহাল সেই নীল জলে যে পা ডোবাতাম সেই জল এখন সিঁদুরে লাল... নদীর ধার দিয়ে হাঁটতে থাকি তাই  কখনো খুঁজি তোমাকে, কখনো আমার ভুল জানিনা কবে আমি ডুবে যাবো ওই নদীতে... তবে হ্যাঁ, তোমাকে দিয়ে যাবো তোমার সেই প্রিয়... কদম ফুল ।। ~পাগলা ©sohams8