Posts

Showing posts with the label পাগলা

ব্লানডার

                                     কেননা, কাল রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় খুঁজতে চাই, তবে একদম নেই সময়  তাই তুমি তাড়াতাড়ি, চলে এস বাড়ি,  আর কোরো না দেরি...                                       কেননা, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরা, ঘোর অন্যায়।  হ্যাঁ, এটাই বলেছে শাস্ত্রে, বলতেন আমার পিসির বিধবা শাশুড়ি,  ওনার বছর ষলোয় গত হোন স্বামী, তারপর থেকে তার সাদা শাড়ি আর ফলাহারই দামি তাও জানিনা কি করে তার চারটে সন্তান, দুটি সন্ততি শুনেছি পরিবারে খুবই অশান্তি,  যদিও সেই বৃদ্ধা শেষ বয়স অব্দি ছিলেন ঠাকুরের চরণে, তাই সবাই বলে তার জীবন স্বার্থক। এগুলো দেখলে আমার খালি মনেহয়, মানুষ কে ভগবান সৃষ্টি করেনি, অন্য কেউ করেছে কেননা এতো খুব কাঁচা হাতের কাজ, নাহলে এরম সাংঘাতিক ভুল হয় কি করে? তবে হ্যাঁ, ধর্ম মানুষেরই সৃষ্টি...                                      কেননা, ম্যানিফেস্টো লেখা মানুষের ছোটবেলার স্বভাব,  আর না-পাওয়ার স্বপ্নে ইজিবিজি কাটা। তবে হ্যাঁ শোনো, তুমি চলে এসো বাড়ি, তাড়াতাড়ি দেরি কোরো না                                     কেননা, এই সমাজটা সেই বানিয়েছে যে মানুষ গড়েছে,

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস এক একটা আস্ত কবিতা। বেশিরভাগই আমি লিখিনা, ভেসে যেতে দিই আকাশে কেননা সব কবিতা পাতায় ধরে রাখা যায়না। সেই কবিতা গুলো ভেসে যায় হাওয়ায়, কখনো কখনো উড়ে চলে যায় কোনো চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে, দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়, ভাতের দাবি জানায়, শোষক কে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, চায় উপড়ে ফেলতে সেই সব ফ্যাসিবাদী শক্তিদের। আবার কখনো একটা নারী ও পুরুষের ঠোঁটদুটির মাঝে আশ্রয় নেয়। তবে বেশিরভাগ সময় মাটিতে পড়ে যায়, তারপর সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায়, মাটিতে মিশে সার হয়ে জন্ম দেয়, বিপ্লবের। তবে আমি চাই এই কবিতা একদিন প্রত্যেকটা শিল্পীর হৃদয়ে মিশে যাক, কারণ আমি প্রত্যেকটা শিল্পীকে সুখী দেখতে চাই। ~সোহম ২৩.০৭.২২

খুব জরুরি

আমার মনের অসীম গভীরতার মাঝে  আটকে থেকে যায় কবিতাগুলো বিছানার চাদরে যেমনি জমে থাকে আমাদের অকথ্য আলোচনা,  পোশাকে আমরা চিনতে পারিনি একে-অপরকে  তাই জরুরি তোমার আমার নগ্নতা, আমাকে তোমার, তোমাকে আমার দেখাটা খুব জরুরি, জরুরি ঠোঁটের কামড়, জরুরি অসভ্যতা জরুরি বিচারহীন নীরবতা, জরুরি দুজনে একে-অন্যের মন-শরীরের কবিতা গুলো পড়া...খুব জরুরি। ~পাগলা

নতুন আলো

আজ বসে আছি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু তারা গুলো গুনে গুনে ফুরিয়ে গেছে পরে আছে বাকি গোনা অন্ধকার টুকু। শিশু গুলোকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছে দিবাকালেও ঘোর অন্ধকার  জিভটাও কেটে নিয়েছে ওরা পাছে করে ফেলি তারস্বরে চিৎকার? আবার কি আসবে ভোর? মাটিতে পুঁতে দেওয়া লাশ গুলো খুঁড়ে বেরিয়ে আসবে? আবার কি জিভ কাটা মানুষ গুলো নিজেদের কন্ঠস্বর ফিরে পাবে? আবার কি আমি...রাতের অন্ধকারে খুঁজে পাবো তারা?...খুঁজে পাবো নতুন আলো? ~পাগলা @sohams8 ০৯.০৪.২১

ভয়ের কীর্তন

মানুষ কাছে আসেনা... ভয় পায়, ভয়ের আকাশে ছবি আঁকে বালির সাগরে ডুবতে চায়। মানুষ আয়নায় দেখেনা নগ্ন নিজেকে ভয় পায় গায়ে মিথ্যের খোলস জড়িয়ে থাকে খোলস ছাড়াতে ভয় পায়। মানুষ ডানা মেলতে ভয় পায় কারোর বুকের উষ্ণতা অনুভব করতে ভয় পায়, অপরকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়, কেননা মানুষ... নিজেকেও বিশ্বাস করতে ভয় পায়। ~পাগলা

আজকে

আজকে কোনো পংক্তি নেই আমার কলমে মাথার ভেতর শুধু জঞ্জাল সমাজের জটে আটকে আছি আমি কাটিয়ে উঠে নোংরার মায়াজাল। আজকে অনেক ভিড় ছিল জানো তবুও আমি ছিলাম একা  বলার কথা ছিল অনেক তবুও বুকের ভেতরটা ছিল ফাঁকা। আজকে কোনো কবিতা শোনাবোনা ধরবোনা কোনো ভুল-ত্রুটি আজকে আমি ছেড়ে দিলাম আজকে...আজকে আমার ছুটি। ~পাগলা

আলোর ছবিটা আঁকতে

মৃত তোমাকে বয়ে বেড়ায়নি আমি দিয়েছিলাম প্রাণ, আলো করে ছিল তুমি আমার পংক্তির মাঝে। তুমি জীবিত আমাকেও মৃত করেছ নিজের কক্ষে, মরা আমিকেও বার বার মেরেছো, কিঞ্চিৎ রেহাই দাওনি। দোষ কি তোমার?: বারবার ফিনিক্স টাকে খুন করা! নাকি আমার?: নুড়ি কে মুক্ত ভাবা! পারতেনা কি তুমি আকাশটাকে জড়িয়ে ধরতে? আকাশটাকে আকাশের মত করে দেখতে? যেরম আমি অন্ধকারে আলো জ্বালতে চেয়েছিলাম... পেরেছি শুধু আলোর ছবিটা আঁকতে। ~পাগলা

নোংরা জীবন

স্বপ্ন দেখা দুঃস্বপ্ন এখন চারিদিকে মৃত্যু অসংখ্য অমাবস্যা রাতের পর রাত তবুও জেতার জন্যে নিয়ম ভাঙা অজুহাত। জীবনটাকে রণক্ষেত্র বানিয়েছই তোমরা ফেলেছো পথের মধ্যে কাঁটা ঠোঁটে চুমু নয়, রক্ত লেগে থাকে এখন দেশ হয়েছে কসাইখানা আর মানুষ: পাঁঠা! ধর্ম এখন কর্ম, শুড়শুড়ি সারা শরীরে আত্মা বলে কিছু নেই এখন, পুরোটাই সারা শরীরে। ~পাগলা

সেইদিন নিতে আসব তোমাকে...

একদিন এই ছলনা খেলা বন্ধ করবে সবাই সারাক্ষন আমি আর হাসবনা মেয়েটা খেলবেনা আর বোকা ছেলেটার মন নিয়ে ক্ষুন্ন স্বামী-স্ত্রীরা প্রেমীদের কাছে ফিরে যাবে লাশ গুলো আর লুকিয়ে পাচার হবেনা দু দেশের মধ্যে জমি নিয়ে খুনোখুনি হবেনা হিন্দুরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়বে মুসুলমানে মাজবে মন্দিরের বাসন  হিজড়েরা পাড়ায় দাঁড়িয়ে গান করবে ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে চুম্বন করবে বাচ্ছা মেয়েরা আর ধর্ষিত হবেনা সেইদিন মানুষের টাকা মানুষই ফিরে পাবে আমিও ফিরে পাব আমাকে, রাশিফল দেখে আর বিয়ে হবেনা সেইদিন যদি অপেক্ষা করো... নিতে আসব তোমাকে। মিথ্যে খেলা বন্ধ হবে,  তবুও আগুন জ্বলবে তারা তে, সেইদিন যদি অপেক্ষা করো... নিতে আসব তোমাকে। ~পাগলা  ০১.০৭.২০

যবে...

ঘুম আসেনা আমার চোখ জলজল... তাকিয়ে থাকি নির্বাক আকাশের দিকে প্রতিশোধের খোঁজে। নক্ষত্র জ্বলে প্রতিশোধে পোড়ে সত্যের আগুনে দিশা দেখায় ক্রান্তিকারীদের শীত গ্রীষ্ম ফাগুনে। আমারও স্থান হবে ওই কাননে বিদ্রোহীদের গগনে যবে মুক্ত করবো খণ্ডযুদ্ধে চিত্ত থাকবেনা আর বাঁধনে।                           ~পাগলা

মিথ্যের সূর্যোদয়

চিত্ত মাঝে রক্ত ঝর্ণা বয়ে চলে আমার নীরবে অশ্রু নদী বয়ে চলে সদায় আমার তীক্ষ্ণ সত্যের আলোয় ঝলসে গেছে সর্বত্র, পরে আছে শুধু মিথ্যের সূর্যোদয়। পাশের কোলবালিশ ভরে গেছে নালিশে নোংরা হয়েছে বিছানা... এই তীব্র ঘৃণার মাঝে শুধু মনেহয় মৃত্যুই আমার ঠিকানা ।। সবকিছুর যোগ্যতা হারিয়েছি আমি শুধু অশ্রুবর্ষার ছাড়া আমার তারার প্রাণ কেড়েছে  সেই মিথ্যের সূর্যোদয় ।। ~পাগলা

কদম ফুল

কদম ফুল চেয়েছিলে তুমি সেইদিন, দিতে পারিনি আমি। দক্ষিনা বাতাসের মত উড়ে বেড়াতে তুমি  বৃষ্টি হয়ে পড়তে আমার মাথায়, গায়ে মিশে যেতে তুমি তোমাকে... হয়তো কিচ্ছু দিতে পারিনি আমি। আজও কিন্তু দাঙ্গা লাগে জানো আজও ধর্মের ভেদাভেদ আজও বাচ্ছা ক্ষুধায় মরে আজও নেতাদের পকেট ভার। তবে আজও আমি ওই নদীর ধারে বসি একা-একা তবে নদীর এখন অবস্থা বেহাল সেই নীল জলে যে পা ডোবাতাম সেই জল এখন সিঁদুরে লাল... নদীর ধার দিয়ে হাঁটতে থাকি তাই  কখনো খুঁজি তোমাকে, কখনো আমার ভুল জানিনা কবে আমি ডুবে যাবো ওই নদীতে... তবে হ্যাঁ, তোমাকে দিয়ে যাবো তোমার সেই প্রিয়... কদম ফুল ।। ~পাগলা ©sohams8

অপূর্ণতা

তোর মুখের কালো ছোপ গুলো তোর চুলের ফাঁকের সাদা জায়গা গুলো তোর অস্পষ্ট যৌবনতা তোর ছেঁড়া চটিটা...  যেন কিছু বলে আমাকে... তাকায় ওরা আমার দিকে... চোখ ছলছলিয়ে যায় ওদের... কি করুণ ! রৌদ্র গন্ধ মুছে গিয়ে ঘামের গন্ধ টা পরের দিন সেই নোংরা কাপড়ে আতর লাগানোর গন্ধ টা; তোর সেই শীতকালের খরখরে ঠোঁট টা... উপভোগ করি আমি, প্রাণ খুলে যেন কিছু বলে ওরা, আমার কানে কানে... করুণ সুরে ! তোর অপূর্ণতা গুলোই যেন ভাললাগায় তোকে যেন মনেহয় ভরাট করে দিই সব... যেইটা কে সবাই ত্যাজ্য করে মনেহয় যেন জড়িয়ে ধরি সেইটাকে ঠিক যেমন এই শীতের রাতে তুই জড়িয়ে ধরিস তোর কান্না কে ।। ~পাগলা