Posts

ভ্যানিশ

যদি আজই উধাও হয়ে যাই, এই ঘরটা খালি হয়ে যাবে। আকাশ - একই থাকবে, নীলচে ভাব কমে আসবেনা। দেহর কোনোটাই কোনো কাজে আসতোনা, তাই উধাও হয়ে গেলেও কেউ টের টুকু পাবেনা।  তবে আমার চিন্তা গুলো একটা বটবৃক্ষের রূপ নিতে পারে -  আমার পাড়ার পেছনের জঙ্গলে, কিংবা পুরুলিয়ায়।  আমার অস্তিত্বে কয়েকজনের উপকার হবে।  বাবা এটাই চেয়েছিল। ~   সোহম      ব্রাতিস্লাভা     ০৬.০৭.২৪

কথোপকথন

আমি নিজেকে বলি – ভাল থেকো। বলি ভাল থেকো, ভাল থেকো আমার জানলা, ভাল থেকো পাহাড়, ভাল থেকো ছোট্ট নদী, নদীর ধারের সরু রাস্তা ভাল থেকো কুকুরেরা, ভাল থেকো আমার মন, আমার স্বপ্নের মাঝে দেখা স্বপ্ন গুলো, ভাল থেকো পেটের ব্যাথা- ভাল থেকো আমার ঘাম তুমিও ভাল থেকো, চোখ বোঝা কালো অন্ধকার – তুমিও, ভাল থেকো আমার চোখের জল – ভয় পেওনা আমি, সবাই ছেড়ে চলে গেছে তাই আর ছেড়ে যাওয়ার কেউ নেই আর, তাই ভাল থেকো। আমার মা, ভাল থেকো।   আমার নিস্তব্ধতা, ভাল থেকো। আর হ্যাঁ, তুমিও ভাল ভাল থেকো।   ~ সোহম ২৩ নভেম্বার ‘২৩ ব্রাতিস্লাভা 

খুব ঘামছি আজকাল

  শীতকালেও বড় ঘামি আমি তুমি – আমাকে তোমার সাথে কথা বলতে বোলোনা এখন, আমি নিজের কাছেও বোবা হয়ে বসে আছি, শুধু বিষণ্ণ মেঘের কালো বৃষ্টিতে ভিজে চলেছি। সত্যি বলতে ভাল নেই আমি, পাশের বাড়ির ফর্সা ঠাকুমা সিগারেট ধরিয়েই চলেছে আমি ভাবতাম শুধু ব্যাটাছেলেরাই বিষাক্ততা গিলতে ভালবাসে, এই সমাজে যে গণমৃত্যুর উৎসব চলছে তাতে সবাই নাম লিখিয়েছে, আমি ছাড়া   তুমি কি শুনেছো, ভারত চাঁদে গেছে আর গরীবগুলোকে ফেলে গেছে পৃথিবীর বুকে, ফিরে এসে এদের ফসিল নিয়ে ভালই ব্যাবসা করা যাবে বলে শুনছি হিন্দি খবরের  চ্যানেলে, তাই হয়তো বড় ঘামছি এখন আমি, কে জানে – এই কবিতাটা শেষ করতে করতেই আমি না পুরো জলই হয়ে যাই… ~ সোহম ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ব্রাতিস্লাভা

বয়ে যায়

আমার তলপেটে অনেক হিজি বিজি কেটে রেখে দিয়েছে কেউ – মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এলেও, চুপ – করে বসে থাকতে হবে এখন, সবই বয়ে যাবে মেঘের মতন, তুমি চিন্তা কোরো না, আমিও ভাবছিনা আর শুধু বুঝতে পারছি একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে   তোমার আমার রোগ গুলো কোনও রোগই না, ওগুলো ভালবাসার, ভালবেসে ফেলার নক্ষত্র – আসল রোগ আমি দেখেছি – ভালবাসতে না পারা আসল রোগ।   আমি জানি তোমারও রক্তস্নাত অবস্থা, বয়ে যেতে দাও – আমাদের রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে গিয়ে মিশবে সেই মহাসাগরে – যেখানে মিশেছে প্রত্যেকটা বিদ্রোহীর রক্ত; যেতে দাও বয়ে, দিন শেষে এসে শুয়ে পরবে আমার বুকের শান্ত গভীরতায়। ~ সোহম    ব্রাতিস্লাভা,   ২৮এ আগস্ট ২০২৩

অট্টহাস্য

বিভিন্ন মানুষ কত কথা বলে যায় স্বভাবে 'তুমি তুমি' করেই মরি আমি তাও কেন  রক্ত মাংসের মানুষ বলে সবাই তবুও  মাথার ভেতরের দেয়াল ভেঙে উড়ে যেতে চায় সে আকাশে, রঙ তুলি ঘাসের মতন -  টানলে ছিঁড়ে চলে আসবে আমার চুল নির্ভুল - বানান ঠিক আছে তবুও নেই ঠিক  সেই প্রাচীন দেশের সেই অকথ্য সুখ। আমাকে দিতে দাও ঝাঁপ ছাদ থেকে,  মরবোনা - উড়ে যাবো কোথাও একটা  আমার মধ্যে বাসা বেঁধেছে সে, সস্তা কবিতা লেখাচ্ছে শালা আমাকে দিয়ে, কালো কালিও ফুরিয়ে যাচ্ছেনা, কি যে করি বলো - বরং একটু কাঁদো তুমি বসে বসে -  আর অট্টহাস্যে মেতে যাই আমি।  কিম্ভূতকিমাকার  ~ সোহম  জুলাই ২৪, ২০২৩   হাওড়া।

বিদেশের প্রথম কবিতা : প্রেম

গোটা জগৎ ধরে ফেলতে চাই  এক নিমেষে সব করেও ফেলি বোতলবন্দি যত রাজ্যের অঙ্ক গুলো                      তবুও মনেহয় পুরতে পারলাম না কিছু একটা সেই বোতলে: নিজেকে। মাথার ভেতরের হারামীটা সব জানে তবুও ফাঁকা বোতল নিয়ে ছোটায়, নিশ্বাস আর প্রশ্বাস - এর মাঝে চোখের পাতা ফেলা - এর মাঝে শেষ দুটো পংক্তির মাঝে,                 অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে,                 বীভৎস একটা ফাঁক থেকে গেছে, আমার দ্বারা সেটা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তোর         আর আমার ঠোঁটের মাঝে যেন একটা  অণুও গলতে না পারে, এর ব্যাবস্থা আমি করবো ... এই মানুষ নামক জানোয়ারটা এটুকুই পারে শুধু, ব্যাস। ~সোহম ২৬.১২.২২  ব্রাতিস্লাভা 

একটা বই বেরোবে...

তুমি কি জানো?     ... তুমি আসার পর কবিতা লেখা ছেড়ে                              দিয়েছি আমি? বিরক্তিকর বিতর্কের সারি সারি পাঁচিল গুলো আর ডিঙিয়ে আসতে হয়না, ঝর-ঝর করে ভেঙে পড়েছে সব, ধূলিসাৎ। ঠিক যেন নাগাসাকির সেই আতঙ্কিত রাত! তুমি আসার পর, তুমি কে তুই বলা অভ্যেস হয়ে গেছে।  তোকে নিয়ে বই লেখার কথা ভেবেছি, না! লিখে যায়নি কেউই;  সক্রেটিস থেকে রবীন্দ্রনাথ, সব ডাহা ফেল। আমি জানিনা ওই বইতে কি থাকবে,  তবে এটুকু জানি যে কি থাকবেনা; শব্দ, পৃষ্ঠা, মলাট। ~ সোহম               

তাড়াতাড়ি এসো আজকে কিন্তু...

যখন আমি দেখিনা তোমায় তখনও তোমায় দেখি, কেননা তোমায় বুঝি না দেখে থাকা যায়না। এক নাস্তিককে হঠাৎই, তুমি বানিয়ে দিয়েছো মস্ত বড় আস্তিক;  আমি পেয়েছি তোমায় সেভাবেই, যেভাবে মৎজার্ট পেতো নিজের সুরের সন্ধান।  কেন, কখন, কিভাবে জানিনা যে কিছুই আমি, শুধু উঠে দেখি ঘুম থেকে একদিন: বুকের মধ্যে বেহালা বেজেই চলেছে, করা যাচ্ছেনা বন্ধ। ঘুম থেকে উঠলাম এবার;  হ্যাঁ, স্বপ্ন ছিলনা ওটা। দুবার ঘুম থেকে ওঠা যায়না। মনেহয় গোটা জীবনটাই একটা স্বপ্ন, সমস্ত মানুষই স্বপ্ন; শুধু আমি, আর তুমি ছাড়া। এইযে কষ্ট করে এতগুলো পংক্তি পড়লে তুমি,  কি দরকার ছিল?  আজকেই তো আসবে আবার আমার বুকে ।। ~সোহম ১০.০৯.২২

মানুষ, জল হও:

Image
সিইউ স্পিক্স পত্রিকার মে ২০২১ সংখ্যায় এই লেখাটা দিয়েছিলাম।  (অনেক চেষ্টা করেও টেক্সট ফর্ম্যাটে দিতে পারলাম না) লেখাটার নাম,  মানুষ, জল হও:

দু - চারটে অন্ধকার পংক্তি

আমার মনের টুকরো গুলো ভেসে গেছে সঙ্গীহীনতার জঙ্গলে, অণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এক একটা রাজপ্রাসাদের মত, সৈন্যরা পরাজিত যার,            বসে আছে রাজা শুধু, নেই কোনো দাসী বা চাষী, শুনবে না কেউ কোনো কান্না তার, তারও মনের অসংখ্য টুকরো পড়ে আছে... সেগুলি কে পাতালে পুঁতে দিলে সমস্ত দূষণ চুষে নিতে পারে। এক একটা কণায় গ্রন্থিত                        সবই এমনকি পৃথিবীর লাশটাও মানুষের বিয়োগভ্যাস, তবে এটা লিখে দেওয়া সম্ভব না যে, এরপর গর্ভ থেকে মৃত মানুষ জন্ম নেবে না... আমাদের কি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে? তাই কি? ~সোহম ০৬.০৮.২২

ব্লানডার

                                     কেননা, কাল রাতের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় খুঁজতে চাই, তবে একদম নেই সময়  তাই তুমি তাড়াতাড়ি, চলে এস বাড়ি,  আর কোরো না দেরি...                                       কেননা, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেশি ঘোরা, ঘোর অন্যায়।  হ্যাঁ, এটাই বলেছে শাস্ত্রে, বলতেন আমার পিসির বিধবা শাশুড়ি,  ওনার বছর ষলোয় গত হোন স্বামী, তারপর থেকে তার সাদা শাড়ি আর ফলাহারই দামি তাও জানিনা কি করে তার চারটে সন্তান, দুটি সন্ততি শুনেছি পরিবারে খুবই অশান্তি,  যদিও সেই বৃদ্ধা শেষ বয়স অব্দি ছিলেন ঠাকুরের চরণে, তাই সবাই বলে তার জীবন স্বার্থক। এগুলো দেখলে আমার খালি মনেহয়, মানুষ কে ভগবান সৃষ্টি করেনি, অন্য কেউ করেছে কেননা এতো খুব কাঁচা হাতের কাজ, নাহলে এরম সাংঘাতিক ভুল হয় কি করে? তবে হ্যাঁ, ধর্ম মানুষেরই সৃষ্টি...                                      কেননা, ম্যানিফেস্টো লেখা মানুষের ছোটবেলার স্বভাব,  আর না-পাওয়ার স্বপ্নে ইজিবিজি কাটা। তবে হ্যাঁ শোনো, তুমি চলে এসো বাড়ি, তাড়াতাড়ি দেরি কোরো না                                     কেননা, এই সমাজটা সেই বানিয়েছে যে মানুষ গড়েছে,

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস

আমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস এক একটা আস্ত কবিতা। বেশিরভাগই আমি লিখিনা, ভেসে যেতে দিই আকাশে কেননা সব কবিতা পাতায় ধরে রাখা যায়না। সেই কবিতা গুলো ভেসে যায় হাওয়ায়, কখনো কখনো উড়ে চলে যায় কোনো চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে, দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়, ভাতের দাবি জানায়, শোষক কে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, চায় উপড়ে ফেলতে সেই সব ফ্যাসিবাদী শক্তিদের। আবার কখনো একটা নারী ও পুরুষের ঠোঁটদুটির মাঝে আশ্রয় নেয়। তবে বেশিরভাগ সময় মাটিতে পড়ে যায়, তারপর সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায়, মাটিতে মিশে সার হয়ে জন্ম দেয়, বিপ্লবের। তবে আমি চাই এই কবিতা একদিন প্রত্যেকটা শিল্পীর হৃদয়ে মিশে যাক, কারণ আমি প্রত্যেকটা শিল্পীকে সুখী দেখতে চাই। ~সোহম ২৩.০৭.২২

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো...

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো,  পিঞ্জর ভরে গেছে কালোয় থুতনিটা মাটিতে ঠেকে গেছে খুব, খুব কষ্ট হচ্ছে জানো। তুমি কি আমায় শেষ করে দিচ্ছ? আমি জানি, নেই লাভ লিখে এই কবিতা;  সেই কালো রক্তের সমুদ্র দিয়ে চলে যেতে হবে হেঁটে,  উপায় নেই সাঁতরানোর, কারণ সাঁতার জানোনা তুমি  -  দোষ তো কোনো নেই তোমার! এই পৃথিবী বা তার চেয়েও বড় কোনো পুকুরকে হেঁটে পার করে দিতে পারি আমি,  আমারই মত আরো অনেক জন্তু আছে হয়তো, হয়তো না...আছে, মাঝে মধ্যে আমি পুকুরের তলায় ডুবে-ডুবে তাদের লাশ দেখেছি, তবে চিনতে পারিনি, আসলে চেনার চেষ্টাও করিনি। আমি মিথ্যে বললাম, আমি সাঁতরাতে পারি, একাই সাঁতরাই... কেননা শুধু তুমি না,  অনেকেই সাঁতার কাটতে পারেনা। আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো, ও না না, শুধু আমিই জানি! ~সোহম ১২.০৫.২২

Thoughts ----- 16 April 22

  For oneself, only that Self exists. The rest is simply an illusion. It is when one realizes that there is another Self apart from its own Self which is beginning to exist, is the Self begins to appreciate something as many people historically define as Love. For many a time, this realization ceases to exist for the Self and now the concept at first the Self defined as Love seems illusionary. I may not know what Love is but this is for sure that it is not illusionary. Simply, there is a lack of what I call, 'Total Humanism', which I do not know whether it used to be inside people or not, but it isn't there now. Yes, it includes me also. Man is an absurd being. ~SS 16.04.22

শূন্য

যদি আমার বুকটা এখন চিরে দেখো ভেতরে শুধু খুঁজে পাবে শূন্যতা অমাবস্যার মত কালো - অন্ধকার, আলো জ্বালাবার দরকার নেই আমাকে দেখতে পাবেনা, শূন্যে হারিয়ে গেছি আমি কিংবা আমিই শূন্য হয়ে গেছি। আমি তুলনাহীন, এই ব্রহ্মাণ্ডে কিস্যু নেই যার তুলনা আমি, আছে বৈকি শূন্যতা। তবে, শূন্য-ও কিন্ত শূন্য, আমি তাও নয়। আমি কিস্যু না, আমার কোনো তুলনা হয়না। ~আমি .…............................. ১৫.০৪.২২